চারিদিকে মুসলিমদের আর্তনাদ। বোমার আর গুলির আঘাতে মুসলিমদের দেহ ক্ষতবিক্ষত, ছড়িয়েছিটিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, রত্তে ভেজা ললাট।
মুসলিমদের রক্তভেজা ললাট ঐ আরাকানে,
সিরিয়া, ইরাক, কাশ্মীর আর ইয়েমেনে,
লিবিয়া থেকে ফিলিস্তিনে।
গোটা বিশ্ব মুসলিমদের ফিলিস্তিন মুক্তু করার জন্য কি জিহাদের চেতনায় জাগ্রত হওয়া উচিৎ নয়???
দখলদার ভারতের হাত থেকে কাশ্মীরি মুক্ত করার জন্য কি বিশ্ব মুসলিমরা জিহাদের চেতনায় জাগ্রত হওয়া উচিৎ নয়???
রোহিঙ্গাদের আহাজারি - আর্তনাদ কি বিশ্ব মুসলিমদের কর্ণপাত করেনা??? এখনও বিশ্ব মুসলিমদের জন্য কি জিহাদ ফরজ হয়নি???
ইসরাইল কে স্বীকৃতি দেয়া বিনিয়ম ওসমানি খেলাফত ভেঙ্গে ইবনে সৌদ নিজ মহে যে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ছিলো আজ প্রায় ১০০ বছর ধরে ঐ ইহুদী আর পশ্চিমদের দালালি করে চলেছে। বিশ্বে নির্যাতিত- নিষ্পেষিত মুসলিমদের জন্য কি করেছে এ সৌদ বংশ ? তারা কি মুসলিম ঐক্যের জন্য বাধা নয়? তাই যদি না হয় তবে তারা ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে না কেন?? এই সৌদ বংশ অবরোধ করেছে কাতারকে। অবরোধ সহ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দরিদ্র নিপীড়িত ইয়েমেন। আর যে সামরিক জোট গঠন করা হয়েছে তাকি সৌদ বংশের রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য?? যদি তা না হয় তবে রোহিঙ্গাদের পক্ষে আর বার্মার বিপক্ষে তাদের শক্ত অবস্থান নেই কেন???
লিবিয়ায়, সিরিয়ায়,যদি স্বৈরশাসক দের পতন ঘটানোর প্রয়োজন হয় তবে কি সৌদ বংশের রাজতন্ত্র, ওমান,বাহরাইন, আবর আমিরাত সহ সকল আরব রাজতন্ত্রের পতন ঘটান প্রয়োজন নয় কি???
এই সকল রাষ্ট্রে তো iss এর তৎপরতা দেখা যায় না। তাহলে এটা অতি পরিষ্কার যে এই সকল রাষ্ট্র আরব গ্রুপের আর ইসরাইলি জঙ্গি সৃষ্টিতে হাত রয়েছে। আর দখলদার ইসরাইলের নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে এদের ব্যবহার করে এবং একই সাথে চলছে মুসলিদের মাঝে রক্তাক্ত হওয়া।
মুসলিম বিশ্ব আজ যে ধ্বংশলিলা চলছে তার জন্য দায়ি এই সকল পশ্চিমা দালাল শাসক গোষ্ঠী। এদের পতন ঘটানো আজ আমাদের জন্য কর্তব্য।
No comments:
Post a Comment