মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীরা যেভাবে হচ্ছে ভুক্তভোগী - Iqbal Hussein Baltu

 Iqbal Hussein Baltu

ধর্ম দিলো পূর্ণতা, পশু হলো স্বাধীন চেতা।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীরা যেভাবে হচ্ছে ভুক্তভোগী

Share This
মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীরা পাসপোর্ট জন্য যেভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।

 বুকভরা স্বপ্ন আর অনেক আশা বুকে বাঁধে নিজের স্বদেশ জন্মভূমি বাবা-মা, ভাই- বোন,পাড়া- প্রতিবেশী আর আত্মীয় - সজন সকলকে ফলে রেখে অজানা- অচিনা শত-শত হাজারও মাইল পাড়ি দিয়ে ভিন্ন সমাজ, সংস্কৃতি আর জীবন ধারার কথা যেনেও রুটি- রুজি, ভাগ্যান্বেষণ আর অর্থ উপার্জনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি নিয়ত ছুটে চলে বাংলাদেশের তরুণ- যুব সমাজ।

 বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম, রক্ত, ঘাম আর জীবনকে বিসর্জন দিয়ে উপার্জন করে চলেছে বৈদেশিক মুদ্রা আর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিকে করেছে মজবুদ ও বেগবান। বিশ্ব অর্থনীতির চেলেঞ্জ মোকাবেলায় যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করে চলেছে শক্তিশালী তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার যে সকল পদক্ষেপের কথা ঘোষণ করেছিল তা অবশ্য প্রশংসার দাবী রাখে।

 পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলে ছিলেন, প্রবাসে থাকা বাংলাদেশীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ফেডারেল এক্সপ্রেসের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থেকে মাত্র ৩ / ৫ দিনের মধ্য পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবে। এটা ছিলো প্রবাসী বাংলাদেশীদের সময়ের দাবী। এই ঘোষণা প্রবাসীরা অনেক উল্লসিত হয়ে ছিলো। কিন্তু মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে তা কতো টুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা প্রশ্নের দাবী রাখে। 

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ঘুরে তার সত্যত্বা পাওয়া যায়নি। যদি কেহ পাসপোর্ট করতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে যায় সঙ্গে সঙ্গে চলে আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে দালাল। পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের থাকা দায়িত্ব প্রাপ্তদের তেমন সহযোগীতা পাওয়া যায়না। বাধ্য হয়ে দালালের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। এই শতশত হাজারও হাজার বাঙ্গালিদের দালাল ধরা ছাড়া পাসপোর্ট করা কারও পক্ষ সম্ভব হয়না। প্রত্যেকের কাছে থেকে লুফে নেই টাকা।

 ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জন্য রেট নির্ধানিত ১১৬ রিংগিত এক্ষেত্রে দালালগণ নিয়ে থাকে ১৫০ রিংগিত বা ২০০ রিংগিত কারও কাছে থেকে ২৫০ রিংগিত এমন কি আবারও দেখা যায় ৩০০/৪০০ রিংগিত নিয়ে থাকে। ( এক রিংগিত=১৮.৮৬ টাকা )। ব্যাংকে রিংগিত জমা দেয়ার পর কাগজ -পত্র নিয়ে হাজার হাজার মানুষের মধ্য পুরা একটি দিন ধরে সিরিয়াল দিয়ে ফিঙ্গারিং ও ছবি তোলার কাজ শেষ হয়।

 পাসপোর্ট উত্তোলন করার যে রশিদ টা দেয়া হয় তা ১৬/১৭ দিন পরের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এবার ১৬/১৭ দিন পর পাসপোর্ট আনার জন্য গেলে আবারও ১৬/১৭ দিন পরে আসার জন্য বলা হয়। আবার পাসপোর্ট আনতে গেলে নতুন করে আর একটি সময় নির্ধারণ করে দেয়। এভাবে সময়ের পর সময় নির্ধারণ করতে থাকে । মালয়েশিয়া দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট উত্তোলন করগে গেলে কমপক্ষে দু'মাসে নিচে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না।

 এত কষ্ট ও পরিশ্রম করে নিজের জীবনের আরাম- আয়েশ, আনন্দন - হাসি ও শুখকে বিসর্জন দিয়ে যারা বছরে পর বছর ধরে দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত চিত্তে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে চলেছে। প্রবাসে থাকা মালয়েশিয়ার বাংলাদেশিরা এভাবে আর কত দিন এই সকল সমস্যাই পোহাতে থাকবে ?

 গাজী ইকবাল হুসাইন বেল্টু
মালয়েশিয়া 

No comments:

Post a Comment

Pages