অমুসলিমদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপনের কুফল আলোচনা করা হলো-
এ কারণে মুসলিম নরনারীকে আহলে কিতাব ছাড়া অন্য সব অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা নিজের ধর্ম, দৃষ্টিভঙ্গী, সমাজ- সংস্কৃত ও জীবন যাপন প্রণালীর দিক দিয়ে মুসলমানদের থেকে তাদের এতটা পার্থক্য যে, কোন খাটি মুসলমান আন্তরিকতা ভালোবাসা ও মন- প্রাণের একমুখিতা নিয়ে তাদের সাথে মিলিত হতে পারে না।
এ বিরোধ সত্ত্বে ও যদি তাদের পরস্পরের সাথে সংযোগ হয় তাহলে তাদের এ দাম্পত্য সম্পর্ক কোন খাঁটি সামাজিক সম্পর্ক হিসেবে স্বীকৃত হবে না বরং তা হবে কেবল একটা যৌবন সম্পর্ক। এ সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে না আর হলেও তা ইসলামি সমাজ- সংস্কৃতি এবং স্বয়ং সে মুসলমানদের জন্য উপকারী না হয়ে উল্ট ক্ষতি কারণই হবে।
" তোমরা মুশরীক নারীদের কখন বিয়ে করো না যে পর্যন্ত তারা ঈমান না আনে। বস্তুত একটি ঈমানদার দাসী একটি সম্ভ্রান্ত মুশরিক নারীর চেয়ে অনেক ভালো, যদিও শেষোক্ত নারী তোমাদের অধিক পচ্ছন্দ। তোমরা মুশরিক পুরুষদের সাথে তোমাদের নারীদের বিয়ে দিও না, যে পর্যন্ত না তারা ঈমান আনে। কেননা একটি ঈমান দার দাশ একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিমের চেয়ে অনেক ভালো যদিও এ মুশরিক যুবকটি তোমাদের অধিক পছন্দ "। বাকারাহ-২২১
আহলে কিতাবদের ক্ষেত্রে আইন যদিও এর অনুমিত দেয় যে, তাদের নারীদের বিয়ে কার যেতে পারে।
সভ্যতা সংস্কৃতির মৌল চিন্তা ধারার ক্ষেত্রে এক পর্যায়ে আমাদের ও তাদের মাঝে অংশদারিত্ব রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলামে এটাকে মনঃপূত দৃষ্টিতে দেখা হয়নি। হযরত কা'ব ইবনে মালিক ( রা ) আহলে কিতাবদের এক নারীকে বিয়ে করতে চাইলেন মুহা:(স) তাকে নিষেধ করলেন এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে বললেন ঃ
" সে তোমাকে চরিত্রবান বানাতে পারবে না"।
এ কথার অর্থ এই যে, এ অবস্থায় তাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা ও সহৃদয়তা সৃষ্টি হতে পারেনা যা দাম্পত্য সম্পর্কে প্রাণ। হযরত হুযায়ফা (র) এক ইহুদি নারীকে বিয়ে করতে চাইলেন। হযরত উমর (রা) তাকে লিখে পাঠালেন " এই ইচ্ছা পরিহার কর"। হযরত আলী(রা) ও হযরত উমর(রা) অহলে কিতাব নারীদের বিয়ে করাকে সুস্পষ্ট ভাষায় "মাকরূহ" বলেছেন। হযরত আলী (র) মাকরূহ হওয়ার প্রমান হিসাবে নিম্নের আয়াত পেশ করেছেনঃ
" যে ব্যক্তি মুমিন সে এমন লোকদের সাথে ভালোবাসা করতে পারে না যারা আল্লাহু ও তার রাসূলের বিরোধী"। মুজাদালা-২২
এরপরেও আহলে কিতাব পুরুষদের সাথে মুসলিম নারীদের বিয়ে নিষিদ্ধ রয়েছে। কেননা নারীদের স্বভাবের মধ্যে সাধারণত প্রভাবান্বিত হওয়া এবং গ্রহণ করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। অতএব একটি অমুসলিম পরিবার ও সমাজে অমুসলিম স্বামীর সাথে তারা বসবাস করার কারণে এ আশংকা অনেক বেশি থাকে যে, সেতার স্বামীর চালচলন ও আদর্শ গ্রহণ করে বসবে।
কিন্তু সে তাদেরকে স্বীয় আদর্শে প্রভাবান্বিত করতে পারবে এটা খুব কমই আশা করা যায়। এছাড়া যদি সে তাদের কে গ্রহণ নাও করে, তবেও এটা নিশ্চিত যে, তাদের এ সম্বন্ধে কেবল একটা জৈবিক সম্পর্ক হিসেবেই থেকে যাবে। অমুসলিম স্বামীর সাথে না তারা ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারবে, না অমুসলিম পরিবার ও সমাজের তারা কোন ফলপ্রসূ সামাজিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
সুতরাং দাম্পত্যেরর মধ্যে যদি প্রেম- ভালোবাসাই নাই হলো তাহলে এ ধরণের বিয়ে কি কাজে আসবে?
-সাইয়েদ মওদূদী
এ কারণে মুসলিম নরনারীকে আহলে কিতাব ছাড়া অন্য সব অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা নিজের ধর্ম, দৃষ্টিভঙ্গী, সমাজ- সংস্কৃত ও জীবন যাপন প্রণালীর দিক দিয়ে মুসলমানদের থেকে তাদের এতটা পার্থক্য যে, কোন খাটি মুসলমান আন্তরিকতা ভালোবাসা ও মন- প্রাণের একমুখিতা নিয়ে তাদের সাথে মিলিত হতে পারে না।
এ বিরোধ সত্ত্বে ও যদি তাদের পরস্পরের সাথে সংযোগ হয় তাহলে তাদের এ দাম্পত্য সম্পর্ক কোন খাঁটি সামাজিক সম্পর্ক হিসেবে স্বীকৃত হবে না বরং তা হবে কেবল একটা যৌবন সম্পর্ক। এ সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে না আর হলেও তা ইসলামি সমাজ- সংস্কৃতি এবং স্বয়ং সে মুসলমানদের জন্য উপকারী না হয়ে উল্ট ক্ষতি কারণই হবে।
" তোমরা মুশরীক নারীদের কখন বিয়ে করো না যে পর্যন্ত তারা ঈমান না আনে। বস্তুত একটি ঈমানদার দাসী একটি সম্ভ্রান্ত মুশরিক নারীর চেয়ে অনেক ভালো, যদিও শেষোক্ত নারী তোমাদের অধিক পচ্ছন্দ। তোমরা মুশরিক পুরুষদের সাথে তোমাদের নারীদের বিয়ে দিও না, যে পর্যন্ত না তারা ঈমান আনে। কেননা একটি ঈমান দার দাশ একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিমের চেয়ে অনেক ভালো যদিও এ মুশরিক যুবকটি তোমাদের অধিক পছন্দ "। বাকারাহ-২২১
আহলে কিতাবদের ক্ষেত্রে আইন যদিও এর অনুমিত দেয় যে, তাদের নারীদের বিয়ে কার যেতে পারে।
সভ্যতা সংস্কৃতির মৌল চিন্তা ধারার ক্ষেত্রে এক পর্যায়ে আমাদের ও তাদের মাঝে অংশদারিত্ব রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসলামে এটাকে মনঃপূত দৃষ্টিতে দেখা হয়নি। হযরত কা'ব ইবনে মালিক ( রা ) আহলে কিতাবদের এক নারীকে বিয়ে করতে চাইলেন মুহা:(স) তাকে নিষেধ করলেন এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে বললেন ঃ
" সে তোমাকে চরিত্রবান বানাতে পারবে না"।
এ কথার অর্থ এই যে, এ অবস্থায় তাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা ও সহৃদয়তা সৃষ্টি হতে পারেনা যা দাম্পত্য সম্পর্কে প্রাণ। হযরত হুযায়ফা (র) এক ইহুদি নারীকে বিয়ে করতে চাইলেন। হযরত উমর (রা) তাকে লিখে পাঠালেন " এই ইচ্ছা পরিহার কর"। হযরত আলী(রা) ও হযরত উমর(রা) অহলে কিতাব নারীদের বিয়ে করাকে সুস্পষ্ট ভাষায় "মাকরূহ" বলেছেন। হযরত আলী (র) মাকরূহ হওয়ার প্রমান হিসাবে নিম্নের আয়াত পেশ করেছেনঃ
" যে ব্যক্তি মুমিন সে এমন লোকদের সাথে ভালোবাসা করতে পারে না যারা আল্লাহু ও তার রাসূলের বিরোধী"। মুজাদালা-২২
এরপরেও আহলে কিতাব পুরুষদের সাথে মুসলিম নারীদের বিয়ে নিষিদ্ধ রয়েছে। কেননা নারীদের স্বভাবের মধ্যে সাধারণত প্রভাবান্বিত হওয়া এবং গ্রহণ করার ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। অতএব একটি অমুসলিম পরিবার ও সমাজে অমুসলিম স্বামীর সাথে তারা বসবাস করার কারণে এ আশংকা অনেক বেশি থাকে যে, সেতার স্বামীর চালচলন ও আদর্শ গ্রহণ করে বসবে।
কিন্তু সে তাদেরকে স্বীয় আদর্শে প্রভাবান্বিত করতে পারবে এটা খুব কমই আশা করা যায়। এছাড়া যদি সে তাদের কে গ্রহণ নাও করে, তবেও এটা নিশ্চিত যে, তাদের এ সম্বন্ধে কেবল একটা জৈবিক সম্পর্ক হিসেবেই থেকে যাবে। অমুসলিম স্বামীর সাথে না তারা ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারবে, না অমুসলিম পরিবার ও সমাজের তারা কোন ফলপ্রসূ সামাজিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
সুতরাং দাম্পত্যেরর মধ্যে যদি প্রেম- ভালোবাসাই নাই হলো তাহলে এ ধরণের বিয়ে কি কাজে আসবে?
-সাইয়েদ মওদূদী
No comments:
Post a Comment