স্বামী-স্ত্রীর অধিকার। সূচনা-২ - Iqbal Hussein Baltu

 Iqbal Hussein Baltu

ধর্ম দিলো পূর্ণতা, পশু হলো স্বাধীন চেতা।

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার। সূচনা-২

Share This
ইসলামে স্বামী- স্ত্রীর অধিকার।

   আর যদি সে বয়ঃবৃদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে তার সন্তানগণ এ বৈবাহিক সম্পর্কের বন্দীদশায় তাকে আবদ্ধ করে রাখবে। তার অন্তরে ও মনের শান্তি তথা জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য অনেকটা পুত্র - পুত্রবধূ এবং মেয়ে জামায়ের সাথে উত্তম সম্পর্কের ওপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। মোট কথা দাম্পত্য বিধান এমনি এক আইনি বিধান যা সামাজিক বিধান সমূহের মধ্যে সর্বাধীক গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধীক প্রভাব বিস্তর কারী।

     ইসলামে এ বিধানে মৌলিক গুরুত্বের দিকে লক্ষ্য রেখে তা অত্যন্ত নিরভূল বুনিয়াদের ওপর রচনা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা দাম্পত্য সম্পর্কে ক্ষেত্রে তাদের দ্বীনের মধ্যে এটি উত্তম পুর্ণাংগ ও পরিপূর্ণ বিধান লাভ করে ছিলো এবং তা যেকোন দিক থেকে দুনিয়ার অন্যান্য ধর্মের বৈবাহিক বিধান গুলো তুলনায় উত্তম বলা যেতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ বিধানটি ও `মুহা: ল' - এর প্রেতাত্মার খোপ্পরে পড়ে এমন ভাবে বিকৃত হলো যে তার মধ্যে ও ইসলামের মূল বৈবাহিক বিধানের মধ্যে  দূরতম সাদৃশ্যমাত্র অবশিষ্ট থাকলো।

    বর্তমানে ইসলামী শরীয়তের নামে যে আইন চালু আছে মুসলমানদের বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে তা যেমন সুষ্ঠু নয়, তেমনি অর্থবহও নয়, পরিপূর্ণও নয়। এ আইনে ত্রুটি ও অপূর্ণতা মুসলমানদের সমাজে জীবনের ওপর এতো বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তর করেছে যে, সম্ভবত অন্য কোন আইনের দ্বারা এতো ক্ষতি করা সম্ভব হয়নি। এই ত্রুটি পূর্ণ আইনের মাধ্যমে কোন রূপ ধ্বংস ও বিপর্যয় সাধীত হয়নি এরূপ একটি সৌভাগ্যবান পরিবার এ উপমহাদেশে অতি কষ্টেই খুজে পাওয়া যেতে পারে। জান প্রাণ ধ্বংস হওয়া একটি সমস্যা ব্যাপার মাত্র।

    কিন্তু তার চেয়েও বড় বিপদ হচ্ছে - এ কালা কানুনের কুফল অসংখ্য মুসলমানদের সম্ভ্রমবোধকে বিলীন করে দিয়েছে তাদের ঈমান ও চরিত্র - নৈতিকতা বরবাদ করে দিয়েছে। যে সব ঘর ছিলো তাদের দ্বীন ও সংস্কৃতি সুরক্ষার দুর্গ, সে গুলোর মধ্যেও অশ্লীলতা ধর্মচ্যতির সয়লাব পৌছিয়ে দিয়েছে। আইন- কানুন এবং তা বলবৎকারী যন্ত্রের ত্রুটির ফলে যে সব অমঙ্গল দেখা দিয়েছে,  দুটি কারণে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এক. দ্বীন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব।

     এর ফলে মুসলমানরা ইসলামের দাম্পত্য আইনের সাথে এতোই অপরিচিত হয়ে পড়ছে যে, বর্তমান অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিও এ আইনের সাধারণ মাসয়ালা- মাসয়েল সম্পর্কেও অভিহিত নয়। ব্যাপক ভাবে জানাতো দূরের কথা,  এর মূলনীতিটুকো জানার এবং বুঝার মত মুসলনাও খুবই কোম পাওয়া যাবে। এমনকি যে সব লোক বিচারালয়ের কুরসীতে বসে তাদের বিয়ের- তালাক সংক্রান্ত মোকদ্দমার মীমাংসা করে থাকেন তারাও ইসলামের দাম্পত্য আইনের প্রাথমিক জ্ঞান থেকে পর্যন্ত বঞ্চিত। এ ব্যাপারে মূর্খতা মুসলমানদের এমন ভাবে পঙ্গু করে দিলো যে, তারা নিজেদের দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ভাবেও ইসলামের আইন যথার্থ অনুসারণ করল না।

দুই. অনৈসলামী সামাজ ব্যবস্থার প্রভাব।

  এর ফলে মুসলমানদের দাম্পত্য সম্পর্কে ক্ষেত্রে কেবল ইসলামের দাম্পত্য আইনের মূলনীতি ও ভাবধারার পরিপন্থী অসংখ্য রসম- রেওয়াজ, ধ্যান- ধারণ ও কুসংস্কারের অনুপ্রবেশই ঘটেনি, বরং সাথে সাথে তাদের একটি বিরাট অংশের মন- মগজ থেকে বৈবাহিক জীবনের ইসলামের দৃষ্টিকোণই সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে গেলো।
 
  ১/-  উদাহরণস্বরূপ -
    এটা মূর্খতারই ফল যে, মুসলমানরা সাধারণত তালাক দেওয়ার একটি মাত্র নিয়মের সাথেই পরিচিত। তা হলো একই সাথে তিন তালাক ছুড়ে মারা।  এমনকি যারা তালাক নামা লিখে থাকেন তারও তখন তিন তালাক লিখে দেন। অথচ এটা হচ্ছে ইসলামেরর বিদ'আত এবং শক্ত গোনাহর কাজ। এরফলে বড় রকমের আইনগত জটিলতারও সৃষ্টি হয়। 

   লোকেরা যদি জানতো,  যে উদ্দেশ্যে তিন তালাক দেওয়া হয় তা এক তালাক দেওয়ার মাধ্যেও হাসিল করা যায়  এবং এ অবস্থায় ইদ্দত চলার সময়ের মধ্যে তালাক প্রত্যাহার করা এবং ইদ্দত শেষ হওয়ার সময় পুনরায় বিয়ে করার সুযোগ অবশিষ্ট থাকে। তাহলে অসংখ্য পরিবার ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার সুযোগ পেত।  একেই ভাবে অনেকে আল্লাহুর বান্দা মিথ্যা ছল- চাতুরী  এবং আইন ভঙ্গের অপরাধ থেকে বেচে যেত। 
                                - সাইয়েদ মওদূদী

ক্রমাগত............. 
একউজজহজজজজজকককজজজগহহহহহহদ্বী


No comments:

Post a Comment

Pages