স্বামী- স্ত্রীর অধিকার। সূচনা - ১ - Iqbal Hussein Baltu

 Iqbal Hussein Baltu

ধর্ম দিলো পূর্ণতা, পশু হলো স্বাধীন চেতা।

স্বামী- স্ত্রীর অধিকার। সূচনা - ১

Share This
ইসলামে স্বামী - স্ত্রীর অধিকার।

যে কোন সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের জন্য দু'টি জিনিসের প্রয়োজন। এক, এমন একটি পূর্ণাঙ্গ আইন ব্যবস্থা যা তার বিশেষ সাংস্কৃতিক মেজাজের দিকে লক্ষ রেখে তৈরি করা হয়েছে। দুই, যে দৃষ্টিভঙ্গী সামনে রেখে এই বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে ঠিক তদনুযায়ী তা কার্যকর করার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। দুর্ভাগ্যবশত পাক-ভারত উপমহাদেশর মুসলমানরা বর্তমানে এ দুটি জিনিস হতে বঞ্চিত।

    নিঃসন্দেহে তাদের কাছে বইয়ের আকারে এমন একটি আইন বিধান মওজুদ রয়েছে যা ইসলামী সাংস্কৃতিক ও তার স্বভাবের সাথে পূর্ণ সমাঞ্জস্যশীল এবং সামাজিকতা ও সাংস্কৃতিক সব দিক ও বিভাগ তাতে পরিব্যাপ্ত। কিন্তু এ বিধান বর্তমানে কার্ষত রহিত হয়ে আছে। তদস্থলে এমন একটি আইন- বিধান তার সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকাণ্ডের ওপরে কর্তৃত্ব করছে যা সমাজ, সভ্যতা ও সাংস্কৃতির অনেক ব্যাপারেই সম্পূর্ণ রুপে ইসলামের পরিপন্থী। যদি কোথাও তার কিয়দংশ ইসলাম মোতাবেক হয়েও থাকে,  তবে তা অসম্পূর্ণ। মুসলমানরা বর্তমানে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধীনে তা কার্যত তাদের সমাজ জীবনকে দু'টুকরো করে ফেলেছে।

   এর এক শাখা হচ্ছে,  এক রাষ্ট্রব্যবস্থা উপমহাদেশে অন্য জাতির সাথে মুসলমানদের ওপরেও এমন সব আইন- কানুন চাপিয়ে দিয়েছে যা ইসলামী সমাজ ও সাংস্কৃতির সাথে আদৌ সামঞ্জস্যশীল নয়। ২য় শাখার আওতায় এ রাষ্ট্র ব্যবস্থা মৌলিক ভাবে মুসলমানদের এ অধীকার স্বীকার করে নিয়েছে যে, তাদের ওপর ইসলামী আইন কার্যকর করা হবে।  কিন্তু কার্যত এ শাখার অধীনেও ইসলামী শরীয়তকে সঠিকভাবে কার্যকর করা হচ্ছে না। `মুহা: ল' নামে যে আইন এই শাখার অধীনে কার্যকর করা হয়েছে তা তার নিজেস্ব রূপ ও প্রাণ- উভয় দিক থেকেই মূল ইসলামী শরীয়ত হতে অনেকটা ভিন্নতর।

   সুতরাং তার প্রয়োগকে সঠিক অর্থে ইসলামী শরীয়কে কার্যকর হয়েছে বলা চলে না। এ দুঃখজনক পরিস্থিতি মুসলমানদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের যে সব ক্ষতি করছে সে গুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে এ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আমাদের অন্তত শতকরা ৭৫% পরিবারকেই জাহান্নমের প্রতীকে পরিণত করে দিয়েছে এবং আমাদের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশের জিন্দেগীকে তিক্ত তথা ধ্বংস করে দিয়েছে। নরী- পুরষের বৈবাহিক সম্পর্ক মূলত মানবীয় সমাজ সংস্কৃতি ভিত্তি প্রস্তর।

   যে কোন ব্যক্তি, চাই সে পুরুষ হোক বা নারী- দাম্পত্য সম্পর্কে সুসংহত করার জন্য রচিত আইনের গন্ডি অতিক্রমণ করতে পারেনা। কেননা শৈশবকাল হতে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি স্তরে এ বিধান কোনা কোন অবস্থায় মানব জীবনের ওপর অবশ্যই প্রভাব বিস্তর করে আছে। যদি সে শিশু হয়ে থাকে তাহলে তার পিতা- মাতার সম্পর্ক তার লালন- পালন ও শিক্ষা - প্রশিক্ষণে প্রভাব বিস্তর করবে। যদি সে যুবক হয়ে থাকে তাহলে একজন জীবন সংগিনীর সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হবে। -- সাইয়েদ মওদূদী

ক্রমাগত.............



No comments:

Post a Comment

Pages