রাজাকার,আল-বদরের কথা বলে বাঙ্গালী জাতিকে ধোকা দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে পরিচয় দানকারী আ,লীগ। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ছিলো অনুরূপ, ১৬ কোটি মানুষকে সেদি দিয়েছিলো ডিজিটাল ধোক।
বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মৌলিক ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এম পি নির্বাচন করে বাংলার ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলো। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরেছিলো, হানাদারদের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। সেই গণতন্ত্রের কবর রচনা করে আ,লীগ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে আর ২০১৪ সনে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রে প্রতিষ্ঠা করে। আসলে কি আ,লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী?
উল্লেখ্য, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও 🇧🇩 স্বাধীনতার একমাত্র দাবীদার আ,লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোন সদস্য, কোন এম.এন.এ, কোন এম.সিএ, এমনকি কোন জেলা কমিটির কোন সভাপতি সাধারণ সম্পাদকও মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেয়নি কেন?(মুক্তিযুদ্ধের প্রথমে যশোরের এম.এন.এ প্রাণ দিয়েছিল কিন্তু সেটা হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধে নয়।) শহীদদের একমাত্র পরিচয় - সন্ধানী শিমুল মস্তফা তার দীর্ঘ গবেষণা ও সরেজমিনে তদন্ত থেকে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে দেখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রেণী বিভাগ
নিম্নরূপেঃ-
১/ ছাত্র.................... ৮%
২/ কৃষক..................২০%
৩/ শ্রমিক................. ১৪%
৪/ চাকরিজীবী......... ১৩%
৫/ ব্যবসায়ী...............১০%
৬/ গৃহবধূ ..................১৪%
৭/ শিক্ষক ইত্যাদি...... ৩০%
৮/ অন্যান্য.................১৭%
২/ কৃষক..................২০%
৩/ শ্রমিক................. ১৪%
৪/ চাকরিজীবী......... ১৩%
৫/ ব্যবসায়ী...............১০%
৬/ গৃহবধূ ..................১৪%
৭/ শিক্ষক ইত্যাদি...... ৩০%
৮/ অন্যান্য.................১৭%
(৭১ এর বধ্যভূমির সন্ধানে, সাপ্তাহিক বিচিত্রা, স্বাধীনতা দিবসের সংখ্যা -৯৩ পৃষ্ঠা -২১) লক্ষ্যনীয় এখানে রাজনীতিবিদদের সংখ্যা শূন্য। এর কারণ কি? এরা সকলেই কি সুপারম্যানের বা স্পাইডারম্যানের মত উড়ে উড়ে যুদ্ধ করেছে? নাকি আসলে এরা যুদ্ধের ময়দানের ধারে কাছে যায়নি?
সঠিক সত্য কথা, বাংলাদেশের শিক্ষিত -অশিক্ষিত, তরুণ -যুবক, কুলি-মজুর যখন হানাদারদের বিরুদ্ধে বিশ্বের ইতিহাসের এক অসম সাহসী যুদ্ধে লিপ্ত ও অকাতরে প্রাণদান রত, ঠিক তখনই এ সমস্ত নেতা এম.এন.এ, এমপি এরা প্রকৃতি পক্ষে ময়দা থেকে অনেক দূরে কলকাতা- আগরতলা, দেরাদুল - দিল্লি বসে জীবন যৌবন উপভোগ করছে, এটাই কি বাস্তব সত্য নয়?
মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে গণতন্ত্র হরন করে ৭২ পরবর্তী যে ধোঁয়া বাংলার মানুষকে দিয়ে ছিলো ৫ জানুয়ারী ছিলো অনুরূপ। আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ এই মুক্তিযুদ্ধের নামধরীদের জবাব দিবে।
বাংলার মানুষ এই ধোঁকাবাজির ফাদে আর পাদেবে না। যুগ যুগ ধরে বাঙ্গালী লড়াই করে আসছে পরাধীনতার বিরুদ্ধে। আর কোন অপশক্তি দিল্লি গোলাম বাংলার মানুষকে বেঁধে রাখতে পারবেনা। আগামী নির্বাচন বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিল্লি তাবেদারিতে সরকারে পতন ঘটাবে।
No comments:
Post a Comment