১৯৭৫ সনে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলেন। অথচ আওয়ামীলীগের যারা বঙ্গবন্ধুর বদৌলতে, তারই নাম ভাঙ্গিয়ে নেতা, মন্ত্রী, এমপি, জেলা গভর্নর ইত্যাদি হয়েছেন, রাতারাতি বাড়ি- গাড়ি ও সম্পদের মালিক হয়েছেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমীতে, প্রতিষ্ঠানে বড়বড় পদ বাগিয়েছেন, তারা কোন প্রতিরোধ তো দূরের কথা তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার কোথাও বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ৫ জন লোক একটা মিছিল পর্যন্ত বের করলো না। অথচ আ'লীগের অনেকের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা সেলাই করে দিলেও বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধ হতো কিনা সন্দেহ। তা স্বত্বেও সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার সামান্য তম প্রতিবাদ ও করলো না কেন ?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
কর্নেল ফারুক রশীদ ডালীমদের ভয়ে? কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার কিংবা পটুয়াখালীতে ফরুক রসীদদের তখন কি এমন শক্তিই ছিলো? ঢাকা শহরের বাহিরে কোথাও তাদের ট্যাং কামান ছিলে না। কেন আ' লীগ অন্তত: ঢাকার বাহিরে হলেও সামান্যতম মিছিল বিক্ষোভ টুকুও করলেন না ? রক্ষীবাহিনী ছিলো আওয়ামীলীগের একান্ত নিজস্ব গেষ্টাপো বাহিনী। এর আসল প্রধান ছিলেন স্বয়ং তোফায়েল আহম্মদ কেন তারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একটি বুলেও ছুড়লে না ? কেন তদানীন্তন সেনাবাহিনীরর প্রধান ( পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের নেতা ) জেনারেল শফিউল্লাহ বাধ্য বালকের মতো ডালিমের সঙ্গে গিয়ে খন্দকার মোস্তাকের কাছে অনুগত্য ঘোষণা করে এলেন ? কেন তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে নির্দেশ পাওয়া স্বত্বেও সেই কালরাত্রি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার উদ্যোগই নিলেন না ? আওয়ামীলীগ তো দাবি করেছিলো, আওয়ামীলীগই ৯৩ হাজার পাকিস্তানের সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করে ফেলে ছিলো। সেই দিন আ' লীগের তথাকথিত বীরত্ব কোথায় ছিলো ?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
নাকি রক্ষিবাহিনীর নীরাবতার পেছোনেও ছিলো আ' লীগের গভীর ষড়যন্ত্র ? বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ না করতে পারলেও একটি জিনিষ কিন্তু আ' লীগ ঠিকিই করতে পেরেছিলো। বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত লাশ কিন্তু তখনও ধানমন্ডীর ৩২ নং রোডের বাড়িতে শিড়ির ওপর পড়ে আছে, তখনও পড়ে আছে বেগম মজিব , তার সন্তান ও পূত্রবধূ। শেখ মনি ও তার স্ত্রীর লাশ আর আ' লীগ সেই লাশের প্রতি ভ্রুক্ষেপ মাত্র না করে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নতুন রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুগত্য প্রদর্শনের কাজে নতুন মন্ত্রীর সভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহনের প্রতিযোগিতাই। কি ব্যাখ্যা আ' লীগের এই আচারণের? বঙ্গবন্ধুকে সহ সপরিবারে হত্যা কোন ক্রমেই সমর্থন যোগ্য নয়। শিশু রাসেল, আবদুর সেরনিয়াবাতের শিশুপুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামানের সদ্য বিবাহীত তরুনী স্ত্রীদ্বয়, বেগম মুজিব, মনির স্ত্রী আরজু মনি প্রমুখকে হত্যা অবশ্য অতি অমানবিক ও চূড়ান্ত বর্বরোচিত কাজ। কিন্তু দুনিয়ার ইতিহাস কি প্রমাণ করেনা যে, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কদের সর্বদেশে সর্বকালে হতে এমনই পরিণতি?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের অকৃত্রিম ভক্তি শ্রদ্ধা থাকা স্বত্বেও একথাতো স্বীকার করতেই হবে যে তিনি বাস্তবে পরিণত হয়ে ছিলেন বা তাকে পরিণত করা হয়ে ছিলো একটি ফ্যাসিষ্ট দানবে। সকল দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রবর্তন। চারটি পত্রিকা বাদে সকল দেশের সকল পত্রিকা নিষিদ্ধ করণের মাধ্যমে মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ পদদলিত করা, সশস্ত্র বাহিনী ও আমলাতন্ত্রের সদস্যদেরও একক রাজনৈতিক দল বাকশালে যোগদানে বাধ্য করা ইত্যাদির সমাহার যদি ফ্যাসিবাদ না হয় তাহলে ফ্যাসিবাদের সংঙ্গা কি ? হিটলার বা মুসোলিনীর নাৎসী ব্যবস্থার সাথে বাকশাল ব্যবস্থা আদৌ কি কোন তফাৎ ছিলো ? থাকলে কি তফাৎ ছিলো ? নাৎসীদের হুবহু অনুকরণে তৎকালীন বাকশালী নেতাকর্মীদের শ্লোগান, " এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " ইত্যাদির চেয়েও চরম ফ্যাসিষ্ট অভিব্যক্তি কি আর কল্পনাও করা যায়?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
আর আওয়ামীলীগ যদি বলে যে, সব দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে, সব পত্রপত্রিকা বন্ধের মাধ্যমে মানুষের মতামত প্রকাশের অধিকার হরণ করে, এক ব্যক্তির এক দলের হাতে সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে,'এক নেতার এদেশ ' জাতীয় শ্লোগান ইত্যাদি তুলে সাচ্চা গণতন্ত্রই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো, তা হলে বলুন এগুলো হবসলো রুশো, ভল্টেরা আব্রাহাম লিংকন রাসেল সাঙ্ক কিংবা অন্য কোন রাষ্ট্র বিজ্ঞানীর সংঙ্গা অনুযায়ী গণতন্ত্র? আওয়ামীলীগ কি উপলব্ধি করেনা যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক হলেও যেকোন ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারীর এই অমোঘ পরিণতি এড়ানো খুবই দূরুহiqbalhusseinbeltu.blogspot.com
ব্যাপার? আ'লীগ বলুন আজ কোথায় হিটলার, কোথায় মুসোলিনী,কোথায় ইরানের শাহ্, কোথায় মার্কস। কোথায়, কোথায় ইদি আমিন কোথায় জুলফিকার আলী ভূট্রো এদের সকলকে কি মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু এবং ইতিহাসের বস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত নন ? বঙ্গবন্ধুেরর ক্ষেত্রেইবা ইতিহাসের রায় পাল্টাবেন কেমন করে? কিন্তু কারা বঙ্গবন্ধু এই পরিণতির জন্য দায়ী? কারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও নিতে চায় সেই একই হয়ংকার পথে?
সাথে থাকুন -
বাকি অংশ পরে যুক্ত করা হবে
স্টার্ট করো
কর্নেল ফারুক রশীদ ডালীমদের ভয়ে? কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার কিংবা পটুয়াখালীতে ফরুক রসীদদের তখন কি এমন শক্তিই ছিলো? ঢাকা শহরের বাহিরে কোথাও তাদের ট্যাং কামান ছিলে না। কেন আ' লীগ অন্তত: ঢাকার বাহিরে হলেও সামান্যতম মিছিল বিক্ষোভ টুকুও করলেন না ? রক্ষীবাহিনী ছিলো আওয়ামীলীগের একান্ত নিজস্ব গেষ্টাপো বাহিনী। এর আসল প্রধান ছিলেন স্বয়ং তোফায়েল আহম্মদ কেন তারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একটি বুলেও ছুড়লে না ? কেন তদানীন্তন সেনাবাহিনীরর প্রধান ( পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের নেতা ) জেনারেল শফিউল্লাহ বাধ্য বালকের মতো ডালিমের সঙ্গে গিয়ে খন্দকার মোস্তাকের কাছে অনুগত্য ঘোষণা করে এলেন ? কেন তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে নির্দেশ পাওয়া স্বত্বেও সেই কালরাত্রি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার উদ্যোগই নিলেন না ? আওয়ামীলীগ তো দাবি করেছিলো, আওয়ামীলীগই ৯৩ হাজার পাকিস্তানের সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করে ফেলে ছিলো। সেই দিন আ' লীগের তথাকথিত বীরত্ব কোথায় ছিলো ?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
নাকি রক্ষিবাহিনীর নীরাবতার পেছোনেও ছিলো আ' লীগের গভীর ষড়যন্ত্র ? বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ না করতে পারলেও একটি জিনিষ কিন্তু আ' লীগ ঠিকিই করতে পেরেছিলো। বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত লাশ কিন্তু তখনও ধানমন্ডীর ৩২ নং রোডের বাড়িতে শিড়ির ওপর পড়ে আছে, তখনও পড়ে আছে বেগম মজিব , তার সন্তান ও পূত্রবধূ। শেখ মনি ও তার স্ত্রীর লাশ আর আ' লীগ সেই লাশের প্রতি ভ্রুক্ষেপ মাত্র না করে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নতুন রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুগত্য প্রদর্শনের কাজে নতুন মন্ত্রীর সভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহনের প্রতিযোগিতাই। কি ব্যাখ্যা আ' লীগের এই আচারণের? বঙ্গবন্ধুকে সহ সপরিবারে হত্যা কোন ক্রমেই সমর্থন যোগ্য নয়। শিশু রাসেল, আবদুর সেরনিয়াবাতের শিশুপুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামানের সদ্য বিবাহীত তরুনী স্ত্রীদ্বয়, বেগম মুজিব, মনির স্ত্রী আরজু মনি প্রমুখকে হত্যা অবশ্য অতি অমানবিক ও চূড়ান্ত বর্বরোচিত কাজ। কিন্তু দুনিয়ার ইতিহাস কি প্রমাণ করেনা যে, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কদের সর্বদেশে সর্বকালে হতে এমনই পরিণতি?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের অকৃত্রিম ভক্তি শ্রদ্ধা থাকা স্বত্বেও একথাতো স্বীকার করতেই হবে যে তিনি বাস্তবে পরিণত হয়ে ছিলেন বা তাকে পরিণত করা হয়ে ছিলো একটি ফ্যাসিষ্ট দানবে। সকল দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রবর্তন। চারটি পত্রিকা বাদে সকল দেশের সকল পত্রিকা নিষিদ্ধ করণের মাধ্যমে মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ পদদলিত করা, সশস্ত্র বাহিনী ও আমলাতন্ত্রের সদস্যদেরও একক রাজনৈতিক দল বাকশালে যোগদানে বাধ্য করা ইত্যাদির সমাহার যদি ফ্যাসিবাদ না হয় তাহলে ফ্যাসিবাদের সংঙ্গা কি ? হিটলার বা মুসোলিনীর নাৎসী ব্যবস্থার সাথে বাকশাল ব্যবস্থা আদৌ কি কোন তফাৎ ছিলো ? থাকলে কি তফাৎ ছিলো ? নাৎসীদের হুবহু অনুকরণে তৎকালীন বাকশালী নেতাকর্মীদের শ্লোগান, " এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " ইত্যাদির চেয়েও চরম ফ্যাসিষ্ট অভিব্যক্তি কি আর কল্পনাও করা যায়?iqbalhusseinbeltu.blogspot.com
আর আওয়ামীলীগ যদি বলে যে, সব দল নিষিদ্ধ করে দিয়ে একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে, সব পত্রপত্রিকা বন্ধের মাধ্যমে মানুষের মতামত প্রকাশের অধিকার হরণ করে, এক ব্যক্তির এক দলের হাতে সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে,'এক নেতার এদেশ ' জাতীয় শ্লোগান ইত্যাদি তুলে সাচ্চা গণতন্ত্রই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো, তা হলে বলুন এগুলো হবসলো রুশো, ভল্টেরা আব্রাহাম লিংকন রাসেল সাঙ্ক কিংবা অন্য কোন রাষ্ট্র বিজ্ঞানীর সংঙ্গা অনুযায়ী গণতন্ত্র? আওয়ামীলীগ কি উপলব্ধি করেনা যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক হলেও যেকোন ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারীর এই অমোঘ পরিণতি এড়ানো খুবই দূরুহiqbalhusseinbeltu.blogspot.com
ব্যাপার? আ'লীগ বলুন আজ কোথায় হিটলার, কোথায় মুসোলিনী,কোথায় ইরানের শাহ্, কোথায় মার্কস। কোথায়, কোথায় ইদি আমিন কোথায় জুলফিকার আলী ভূট্রো এদের সকলকে কি মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু এবং ইতিহাসের বস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত নন ? বঙ্গবন্ধুেরর ক্ষেত্রেইবা ইতিহাসের রায় পাল্টাবেন কেমন করে? কিন্তু কারা বঙ্গবন্ধু এই পরিণতির জন্য দায়ী? কারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও নিতে চায় সেই একই হয়ংকার পথে?
সাথে থাকুন -
বাকি অংশ পরে যুক্ত করা হবে
স্টার্ট করো
No comments:
Post a Comment